কলেজ জীবনে ম্যাসে থেকে পড়ালেখা করতাম । অর্নাস ১ম বর্ষ থেকে পার্টটাইম হিসেবে ১টা প্রাথমিক পর্যায়ে আর তিনটা কোচিং এ শিক্ষকতা করতাম । একটা টিউশনিও করাতে হয়েছিল, অনুরোধক্রমে।
সময় আমাকে নিয়মের জালে বন্দি করেছিলো। প্রতিদিনের রুটিন ছিল - নিজের লেখাপড়া সাথে পার্টটাইম জবে সময় দেওয়া। বিনোদনের জন্যে অবসরের সময়টুকু হতো না । সরকারি ছুটির সুবাধে আমিও কয়েকটা দিনের ছুটি পেয়ে গেলাম।
বাড়ি যাওয়ার প্ল্যানটাও করে ফেললাম, এমনকি বাড়িতে ফোন করে মাকেও জানিয়ে দিলাম। আগের রাতে কাপড় গুছিয়ে রাখলাম, মোবাইল ঘরিতে এলার্ম দিয়ে রাখলাম। পরেরদিন ভোরে ফজর নামায পড়ে বাড়িদিকে রওনা দিবো, ট্রেন আসার সময় ৭.১৫ শীতের সময় ঘন কুয়াশা শহর হলেও কি হবে এতো সকালে কাউকে মিলা ভীষণদায়। নিহাত দরকার ছাড়া কিংবা আমার মতো বাড়ি যাওয়ার ইচ্ছা আছে, তাদেরই দেখা পাওয়া যাবে। ট্রেন যেন মিস না করি তাই তাড়াতাড়ি আসার চেষ্টা করছি, আসার পথে মনে হলো আমাকে অদৃশ্য কোন শক্তি নিয়ন্তরণ করছে। বিষয়টা পাত্তা দিলাম না, অানমনে গন্তব্যপথে হাঁটছি। স্টেশনের আগে আসতে কেউ আমাকে বলছে ভাই, ট্রেনতো আসছে। দৌঁড় দেন নায়তোবা ট্রেন মিস করবেন । কথাটা শুনা মাএই দৌঁড় দিতে লাগলাম, কোন বিশ্লেষণ করার প্রয়োজন মনে না করে দৌঁড় দিয়েছি । ১৫ মিনিটের রাস্তা দৌঁড়ে ৫ মিনিটে পৌঁছায় গেলাম স্টেশনে । হ্যাঁ সত্যই তো ট্রেন দাঁড়িয়ে আছে, অপেক্ষা না করেই ট্রেনে উঠলাম আর অমনি হুইসেল বাজিয়ে ট্রেন চলতে লাগলো। এখনো সেই অদৃশ্য ঘোর আমার কাটেনি, হঠাৎ করে একবগির মধ্য দিয়ে অন্য বগিতে পার হয়ে ফাঁকা একটা জায়গায় দাঁড়ালাম।
২
ট্রেনে পাশের সিটে বসে থাকা একটা মেয়ে আমাকে কি যেন বলছে, প্রথমে আমি লক্ষ্য করেনি। পরে দেখি সে হাত দিয়ে আমাকে ইশিরা করছে।
আমি কানটা এগিয়ে নিয়ে গিয়ে বললাম, আপনি কি আমাকে কিছু বলতেছেন ।
সে বলল -: হ্যাঁ, বললাম । বাড়ি যাচ্ছো।
জ্বি, বাড়ি যাচ্ছি।
সে বললো - তুমি এখানেই থাকো।
হ্যাঁ ।
আমি জানতে চাইলাম, আপু আপনি নেকাব করাতো তাই আমি চিনতে পারছিনা । আপনার নাম কি?
যাবেন কোথায়?
সে তার পরিচয় দিলো । পরিচয় জানার পর আমার কথাবলাস্তব্ধ হয়ে গেলো । আমি শুনছি, সে শুধু বলতেছে --
পাশের বসে থাকা আঙ্কেলটা আমাকে চিনে, সে আমাকে বসার জায়গা করে দিলো । কারণ, আঙ্কেল আমার মনে বয়ে যাওয়া কষ্টকে অনুধাবন করতে পারছে কিছুটা হলেও।
আমি জানতে চাইলাম, কোথায় থাকছেন এখন - এমনভাবে কথা বললাম যেন খুব জোর দিয়ে বলতে হলো।
তার স্বামীসহ এই জায়গাতেই থাকে।
সে তার বাবাকে দেখতে যাচ্ছে, তার শরীর খুব একটা ভালো না।
আমি জানতে চাইলাম আপনার স্বামী আসেন নাই ।
সে বলল, উনি আমাকে ট্রেনে সিটে বসিয়ে দিয়ে নেমে গেছেন। তার কাজ থাকায় সে যেতে পারছে না।
তোমার সঙ্গে ধাঁকা লেগেছিল, যে তোমাকে সরি বললো।
সেই তিনিই আমার স্বামী ---
আমি এখন পুরোপুরিভাবে নিশ্চুপ হয়ে।
তোমার ব্যাপারে সে সব জানে, আমার চাচাতো বোন সে জানিয়ে দিয়েছিলো।
জানো, আজো তাের কথা বলে অশান্তুি তৈরি করে।
একটু হেঁসে, তাহলে ভাইটার নাম কি?
সব বলল - এ টু জেট।
তোমার সাথে কিভাবে পরিচয় আর পরিণতি ঘটলো।
আমার চাচাতো বোনের মাধ্যমে -- জানা পরিচয় হয়েছিলো ।
তখন তুমি বর্তমান - ছিলে।
বোনটা আমার নাম্বার সে ভাইকে দিয়েছিলো ।
তার সাথে আমার কথা হতো, সে সরাসরি আমাকে প্রপোজ করে।।
আমি জানাই, তুমি আছো - তোমাকে ভূলতে পারবো না।
সে দিনের পর দিন আমাকে মটিভ করতে থাকে ।
ইন্টারমিডিয়েটে কলেজ বনভোজনে গিয়েছিলাম, চাচাতো বোন সে ভাইকে ওখানে আসতে বলেছিলো।
পরে, বোন আর ভাইয়ের কথায় আমি তার প্রতি দূর্বল হয়ে পড়ি।
আর এভাবে সূচনা --হলেও, তুমি আছো। তোমার সাথে কথাবার্তা, চলাচল করতে নিষেধ করে।
আমি তা করতে পারবো না বলে, তাকে জানিয়ে দিয়েছিলাম।
সময় আমাকে নিয়মের জালে বন্দি করেছিলো। প্রতিদিনের রুটিন ছিল - নিজের লেখাপড়া সাথে পার্টটাইম জবে সময় দেওয়া। বিনোদনের জন্যে অবসরের সময়টুকু হতো না । সরকারি ছুটির সুবাধে আমিও কয়েকটা দিনের ছুটি পেয়ে গেলাম।
বাড়ি যাওয়ার প্ল্যানটাও করে ফেললাম, এমনকি বাড়িতে ফোন করে মাকেও জানিয়ে দিলাম। আগের রাতে কাপড় গুছিয়ে রাখলাম, মোবাইল ঘরিতে এলার্ম দিয়ে রাখলাম। পরেরদিন ভোরে ফজর নামায পড়ে বাড়িদিকে রওনা দিবো, ট্রেন আসার সময় ৭.১৫ শীতের সময় ঘন কুয়াশা শহর হলেও কি হবে এতো সকালে কাউকে মিলা ভীষণদায়। নিহাত দরকার ছাড়া কিংবা আমার মতো বাড়ি যাওয়ার ইচ্ছা আছে, তাদেরই দেখা পাওয়া যাবে। ট্রেন যেন মিস না করি তাই তাড়াতাড়ি আসার চেষ্টা করছি, আসার পথে মনে হলো আমাকে অদৃশ্য কোন শক্তি নিয়ন্তরণ করছে। বিষয়টা পাত্তা দিলাম না, অানমনে গন্তব্যপথে হাঁটছি। স্টেশনের আগে আসতে কেউ আমাকে বলছে ভাই, ট্রেনতো আসছে। দৌঁড় দেন নায়তোবা ট্রেন মিস করবেন । কথাটা শুনা মাএই দৌঁড় দিতে লাগলাম, কোন বিশ্লেষণ করার প্রয়োজন মনে না করে দৌঁড় দিয়েছি । ১৫ মিনিটের রাস্তা দৌঁড়ে ৫ মিনিটে পৌঁছায় গেলাম স্টেশনে । হ্যাঁ সত্যই তো ট্রেন দাঁড়িয়ে আছে, অপেক্ষা না করেই ট্রেনে উঠলাম আর অমনি হুইসেল বাজিয়ে ট্রেন চলতে লাগলো। এখনো সেই অদৃশ্য ঘোর আমার কাটেনি, হঠাৎ করে একবগির মধ্য দিয়ে অন্য বগিতে পার হয়ে ফাঁকা একটা জায়গায় দাঁড়ালাম।
২
ট্রেনে পাশের সিটে বসে থাকা একটা মেয়ে আমাকে কি যেন বলছে, প্রথমে আমি লক্ষ্য করেনি। পরে দেখি সে হাত দিয়ে আমাকে ইশিরা করছে।
আমি কানটা এগিয়ে নিয়ে গিয়ে বললাম, আপনি কি আমাকে কিছু বলতেছেন ।
সে বলল -: হ্যাঁ, বললাম । বাড়ি যাচ্ছো।
জ্বি, বাড়ি যাচ্ছি।
সে বললো - তুমি এখানেই থাকো।
হ্যাঁ ।
আমি জানতে চাইলাম, আপু আপনি নেকাব করাতো তাই আমি চিনতে পারছিনা । আপনার নাম কি?
যাবেন কোথায়?
সে তার পরিচয় দিলো । পরিচয় জানার পর আমার কথাবলাস্তব্ধ হয়ে গেলো । আমি শুনছি, সে শুধু বলতেছে --
পাশের বসে থাকা আঙ্কেলটা আমাকে চিনে, সে আমাকে বসার জায়গা করে দিলো । কারণ, আঙ্কেল আমার মনে বয়ে যাওয়া কষ্টকে অনুধাবন করতে পারছে কিছুটা হলেও।
আমি জানতে চাইলাম, কোথায় থাকছেন এখন - এমনভাবে কথা বললাম যেন খুব জোর দিয়ে বলতে হলো।
তার স্বামীসহ এই জায়গাতেই থাকে।
সে তার বাবাকে দেখতে যাচ্ছে, তার শরীর খুব একটা ভালো না।
আমি জানতে চাইলাম আপনার স্বামী আসেন নাই ।
সে বলল, উনি আমাকে ট্রেনে সিটে বসিয়ে দিয়ে নেমে গেছেন। তার কাজ থাকায় সে যেতে পারছে না।
তোমার সঙ্গে ধাঁকা লেগেছিল, যে তোমাকে সরি বললো।
সেই তিনিই আমার স্বামী ---
আমি এখন পুরোপুরিভাবে নিশ্চুপ হয়ে।
তোমার ব্যাপারে সে সব জানে, আমার চাচাতো বোন সে জানিয়ে দিয়েছিলো।
জানো, আজো তাের কথা বলে অশান্তুি তৈরি করে।
একটু হেঁসে, তাহলে ভাইটার নাম কি?
সব বলল - এ টু জেট।
তোমার সাথে কিভাবে পরিচয় আর পরিণতি ঘটলো।
আমার চাচাতো বোনের মাধ্যমে -- জানা পরিচয় হয়েছিলো ।
তখন তুমি বর্তমান - ছিলে।
বোনটা আমার নাম্বার সে ভাইকে দিয়েছিলো ।
তার সাথে আমার কথা হতো, সে সরাসরি আমাকে প্রপোজ করে।।
আমি জানাই, তুমি আছো - তোমাকে ভূলতে পারবো না।
সে দিনের পর দিন আমাকে মটিভ করতে থাকে ।
ইন্টারমিডিয়েটে কলেজ বনভোজনে গিয়েছিলাম, চাচাতো বোন সে ভাইকে ওখানে আসতে বলেছিলো।
পরে, বোন আর ভাইয়ের কথায় আমি তার প্রতি দূর্বল হয়ে পড়ি।
আর এভাবে সূচনা --হলেও, তুমি আছো। তোমার সাথে কথাবার্তা, চলাচল করতে নিষেধ করে।
আমি তা করতে পারবো না বলে, তাকে জানিয়ে দিয়েছিলাম।
তাতে সে ঘুমের বড়ি খেয়ে ক্লিনিকে, চাচাতো বোন আমাকে দেখা করতে বলে। আমি দেখা করতে গিয়েছিলাম, সেখানে সে আমার কাছে প্রতিজ্ঞা করিয়ে নেয়।
তাই, তোমার অজান্তে আমি সরে আছি।
এভাবে কয়েক মাস যাবার পর, সে আমাকে বিয়ে করে পরিবার না জানিয়ে। তার পরিবার আমাকে মেনে নেয়নি -- তখন অনার্স ফাইলানে, চাকুরী ছিল না।
বাঁধা আর কষ্টের মধ্যে নিজেকে দিন দিন আষ্টেপৃষ্টে জরিয়ে ফেলেছিলাম ।
সে তার পরিবারের একমাএ সন্তান ছিলো, বিধায় একবছরে মেনে নেয়।
আমি তো নির্বাক, বুকে দ্বগ্ধ ক্ষতে জ্বলোনি বাড়ছে।
কথাগুলো শুনার পড়ে আর কোন কথা বলার শক্তি হয়নি আমার।
পথে মধ্যে ট্রেন বিরতি দিয়েছিলো -
পাশের আঙ্কেল গাঁয়ে হাত দিয়ে জানতে চাইলো ।
বাবা, পানি খাবে -- এখানে ট্রেন বিরতি দিয়েছে।
আমি বললাম - না, লাগবে না।
আপু খাবেন কিছু, খাবার নিয়ে আসবো।
সে বললো আমাকে কিনে দিয়েছে তোমার ভাই ।
তুমি এখনো সেই আগের মতোই আছো, বদলাওনি একটু।
নিজেকে সাজিয়ে নিও, তোমার মুখের হাঁসি আমি কেড়ে নিয়েছি জানি।
তবুও বলবো, হাঁসি মুখে থেকো।
ভালো কাউকে জীবনসঙ্গী করে ঘর সংসার করো।
চাকুরীর জন্য কি কোথাও আবেদন করেছো
বললাম- না!
কোন সাবজেক্টে অনার্স করছো -
বললাম - ম্যাথম্যাটিকস নিয়ে ।
কথার সুরে সুর মিলিয়ে আঙ্কেল বললো, বাবা - তোমার চাকুরীর চিন্তা করতে হবে না।
তুমি যে সাবজেক্ট নিয়েছো, তাতে তুমি শিক্ষকতা, টিউশনি করালেও চাকুরী থেকে ভালো করতে পারবে।
সরকারী সবখানেই তোমাদের চাহিদা আছে , চিন্তা করো না।
ট্রেনের হুইসেল বাঁজিয়ে, ট্রেন যাএা শুরু করে দিলো।
আমি যেখানে থাকি সেখান থেকে বাড়ি যেতে ট্রেনে লাগবে ৩০ মিনিট ৪৫ মিনিট মেইল ট্রেনগুলোতে। আমি ইন্টারসিটিতে যাচ্ছি, সেখানে ৩০ মিনিটেই পৌঁছানোর কথা । অথচ একঘন্টা পার হয়ে গেছে সেদিকে কোন হুশ জ্ঞান নেই ।
বাড়ি থেকে ফোন দিয়েছে, আমি কোথায় আছি জানার জন্য।
বাড়িতে কথা শেষ করতেই, বললো এখনো কি তোমার মা আগের মতোই চোখে চোখে রাখে।
হুম।
অবশেষে, গন্তব্য পৌছালাম।
ট্রেন থেকে নেমে, ভ্যান নিবো - তখন সে বললো, তোমাকে আমার নাম্বার দিতাম কিন্তু সে তোমাকে নিয়ে সন্দেহ করে।।
আমি সুখে নেই -- তাই নাম্বারটা দিলাম না। কিছু মনে করো না --
তাই, তোমার অজান্তে আমি সরে আছি।
এভাবে কয়েক মাস যাবার পর, সে আমাকে বিয়ে করে পরিবার না জানিয়ে। তার পরিবার আমাকে মেনে নেয়নি -- তখন অনার্স ফাইলানে, চাকুরী ছিল না।
বাঁধা আর কষ্টের মধ্যে নিজেকে দিন দিন আষ্টেপৃষ্টে জরিয়ে ফেলেছিলাম ।
সে তার পরিবারের একমাএ সন্তান ছিলো, বিধায় একবছরে মেনে নেয়।
আমি তো নির্বাক, বুকে দ্বগ্ধ ক্ষতে জ্বলোনি বাড়ছে।
কথাগুলো শুনার পড়ে আর কোন কথা বলার শক্তি হয়নি আমার।
পথে মধ্যে ট্রেন বিরতি দিয়েছিলো -
পাশের আঙ্কেল গাঁয়ে হাত দিয়ে জানতে চাইলো ।
বাবা, পানি খাবে -- এখানে ট্রেন বিরতি দিয়েছে।
আমি বললাম - না, লাগবে না।
আপু খাবেন কিছু, খাবার নিয়ে আসবো।
সে বললো আমাকে কিনে দিয়েছে তোমার ভাই ।
তুমি এখনো সেই আগের মতোই আছো, বদলাওনি একটু।
নিজেকে সাজিয়ে নিও, তোমার মুখের হাঁসি আমি কেড়ে নিয়েছি জানি।
তবুও বলবো, হাঁসি মুখে থেকো।
ভালো কাউকে জীবনসঙ্গী করে ঘর সংসার করো।
চাকুরীর জন্য কি কোথাও আবেদন করেছো
বললাম- না!
কোন সাবজেক্টে অনার্স করছো -
বললাম - ম্যাথম্যাটিকস নিয়ে ।
কথার সুরে সুর মিলিয়ে আঙ্কেল বললো, বাবা - তোমার চাকুরীর চিন্তা করতে হবে না।
তুমি যে সাবজেক্ট নিয়েছো, তাতে তুমি শিক্ষকতা, টিউশনি করালেও চাকুরী থেকে ভালো করতে পারবে।
সরকারী সবখানেই তোমাদের চাহিদা আছে , চিন্তা করো না।
ট্রেনের হুইসেল বাঁজিয়ে, ট্রেন যাএা শুরু করে দিলো।
আমি যেখানে থাকি সেখান থেকে বাড়ি যেতে ট্রেনে লাগবে ৩০ মিনিট ৪৫ মিনিট মেইল ট্রেনগুলোতে। আমি ইন্টারসিটিতে যাচ্ছি, সেখানে ৩০ মিনিটেই পৌঁছানোর কথা । অথচ একঘন্টা পার হয়ে গেছে সেদিকে কোন হুশ জ্ঞান নেই ।
বাড়ি থেকে ফোন দিয়েছে, আমি কোথায় আছি জানার জন্য।
বাড়িতে কথা শেষ করতেই, বললো এখনো কি তোমার মা আগের মতোই চোখে চোখে রাখে।
হুম।
অবশেষে, গন্তব্য পৌছালাম।
ট্রেন থেকে নেমে, ভ্যান নিবো - তখন সে বললো, তোমাকে আমার নাম্বার দিতাম কিন্তু সে তোমাকে নিয়ে সন্দেহ করে।।
আমি সুখে নেই -- তাই নাম্বারটা দিলাম না। কিছু মনে করো না --
আমি ভ্যান না চড়ে, আনমনে হাঁটতে লাগলাম বাড়ির পথে।
ট্রেন আচ্ছে জেনে বাড়ি থেকে ফোন দিচ্ছিলো বারবার , আমার সেদিকে কোন মনোযোগ নেই।
৩ মিনিটের রাস্তা ১০ মিনিটে বাড়ি গিয়ে পৌঁছায় ।
কোন মতে বাবা- মার ভালো মন্দ জিজ্ঞাসা করে।
শুয়ে পড়লাম, ধীরে ধীরে ঘুম আসলো
দুপুর পাড় হয়, ওঠি না দেখে মা ডাকদিলো , কোন সাড়া নেই -
মাগরিবের আযান কানে এলে ঘুম থেকে লাফিয়ে ওঠি ।
হাত মুখ ধোঁয়ে নামায পড়ে গেলাম,
এসে খাবার খেয়ে আবার ঘুমিয়ে গেলাম।
পরেরদিন সকাল থেকে এই একই ঘটনা আমার মনে চলতে থাকে।
আর তখন আমি অদৃশ্য শক্তিতে জড়িয়ে পড়ি - বাড়তে থাকে অন্তরের জ্বালাটা ।।
৩
ভাবতে থাকি, চাচাতো বোন এখানে তৃতীয় ব্যক্তি ছিলো- তার নিজস্ব সিদ্ধান্তকে অন্যের উপর চাপিয়ে দিয়ে। সম্পর্কে মাঝে নতুনত্ব দিয়েও- ব্যর্থতার উপখ্যান তৈরি করার জখন্যতম ব্যক্তি পর্যায়ে নাম লিখায়।
মটিভ করাটা আমি সেইদিন শিখলাম -
আকাঙ্খা মানুষকে মটিভ হতে সহজতর করে।
ভাবনায় এটাও, ছিলো যে
কোন নতুনত্ব পাওয়ার জন্য ভালোবাসায় দ্বিবিভাজন হতে পারে?
সেটা ভালোবাসা হতে পারে না -- আকর্ষণ , মোহ ' স্বার্থচিন্তায় মুক্ত বিচারণ করা ছাড়া আর কি ? -----(চলবে)
#রায়হান
ট্রেন আচ্ছে জেনে বাড়ি থেকে ফোন দিচ্ছিলো বারবার , আমার সেদিকে কোন মনোযোগ নেই।
৩ মিনিটের রাস্তা ১০ মিনিটে বাড়ি গিয়ে পৌঁছায় ।
কোন মতে বাবা- মার ভালো মন্দ জিজ্ঞাসা করে।
শুয়ে পড়লাম, ধীরে ধীরে ঘুম আসলো
দুপুর পাড় হয়, ওঠি না দেখে মা ডাকদিলো , কোন সাড়া নেই -
মাগরিবের আযান কানে এলে ঘুম থেকে লাফিয়ে ওঠি ।
হাত মুখ ধোঁয়ে নামায পড়ে গেলাম,
এসে খাবার খেয়ে আবার ঘুমিয়ে গেলাম।
পরেরদিন সকাল থেকে এই একই ঘটনা আমার মনে চলতে থাকে।
আর তখন আমি অদৃশ্য শক্তিতে জড়িয়ে পড়ি - বাড়তে থাকে অন্তরের জ্বালাটা ।।
৩
ভাবতে থাকি, চাচাতো বোন এখানে তৃতীয় ব্যক্তি ছিলো- তার নিজস্ব সিদ্ধান্তকে অন্যের উপর চাপিয়ে দিয়ে। সম্পর্কে মাঝে নতুনত্ব দিয়েও- ব্যর্থতার উপখ্যান তৈরি করার জখন্যতম ব্যক্তি পর্যায়ে নাম লিখায়।
মটিভ করাটা আমি সেইদিন শিখলাম -
আকাঙ্খা মানুষকে মটিভ হতে সহজতর করে।
ভাবনায় এটাও, ছিলো যে
কোন নতুনত্ব পাওয়ার জন্য ভালোবাসায় দ্বিবিভাজন হতে পারে?
সেটা ভালোবাসা হতে পারে না -- আকর্ষণ , মোহ ' স্বার্থচিন্তায় মুক্ত বিচারণ করা ছাড়া আর কি ? -----(চলবে)
#রায়হান







Translate














BD Dial Codes

No comments:
Post a Comment